Wednesday 8 August 2012

অসম্ভব রূপবতী সুইডিশ ভূত


নাম এরিক হওয়াতে কিছু সুবিধা আমি অবশ্যই ভোগ করি, অনেক গল্প উপন্যাসের নায়কের নাম, উচ্চারনে সহজ, একটা আংরেজ ভাব, সম মিলিয়ে খারাপ না। বয়স বেশী না পঁচিশ। যদি চেহারার বর্ণনা দেই তাহলে একটু সমস্যা আছে। মেয়ে পাঠকরা, সাবধান!, প্রেমে পড়ে যেতে পারেন। তাও বলছি। উচ্চতায় আমি প্রায় ৬ ফুট। বলিষ্ঠ শরীর। মাথা ভর্তি চুল। একদম স্ট্রেইট কাঁধ পর্যন্ত নেমে গেছে। ডাগর ডাগর চোখ। মুখে ফ্রেঞ্চ কাট দাড়ি। এক কথায় সুদর্শন বলতে যা বোঝায় আমি তা। বাই প্রফেশন আমি ডক্টর। আমার পেশা ঠিক চেহারার সাথে যায় না। ডক্টরদের মধ্যে একটু আড়ষ্ট ভাব লক্ষণীয়। আমি তেমন না মোটেও। উদার, খোলামেলা, নারিসঙ্গ উপভোগ করি। জীবন নিয়ে নির্দিষ্ট কোন দর্শন ও নেই। দর্শন একটাই, মানুষের জীবন বাঁচাবো, দু হাতে কামাবো, আড়াই হাতে উড়াবো।

আমি ডাক্তারি পাস করেছি বেশী দিন হয় নি। প্র্যাকটিস শুরু করেছি একটা ক্লিনিকে। আপাতত আছি নিজের মতো করে। টুকটাক পড়াশুনা করছি। পোস্ট গ্রাজুয়েশন করার ইচ্ছে আছে। বিভিন্ন সেমিনার টেমিনার এটেন্ড করে বেড়াই এখন। আসলে এগুলো সব এক্সকিউজ। দেশ বিদেশে ঘোরাঘুরিই মূল লক্ষ্য। মোটামুটি এঞ্জয়েবল লাইফ বলা চলে। এবারের কিস্তিতে এসেছি উপসালা, সুইডেন। উপসালাতে চমৎকার একটা ইউনিভার্সিটি আছে। নাম উপসালা ইউনিভার্সিটি। বহু পুরাতন ইউনিভার্সিটি। এই ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট ছিলেন ক্যারোলাস লিনিয়াস। জ্ঞানী মানুষ। শ্রেণীবিন্যাস বিদ্যার জনক। তো আমি এই ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের এক সেমিনারে এটেন্ড করবো। অনলাইনে সব ফর্মালিটিজ সেরে নির্দিষ্ট দিন ক্ষণে রওনা দিলাম সুইডেন। সুইডেন বলা ঠিক না। উপসালা বলা উচিত। স্টকহোম আমি আগেও এসেছে। এবারই প্রথম উপসালাতে। বলা হয় নি আমার বাড়ি কিন্তু নরওয়েতে। সুইডেনের প্রতিবেশী দেশ। আমাদের সব কিছু প্রায় কাছাকাছি ধরণের।

যেদিন উপসালায় পৌঁছলাম, ঘড়িতে দেখি সময় কম, বুঝলাম হোটেল খুঁজতে গেলে দেরী হয়ে যাবে। সরাসরি ট্যাক্সি নিয়ে সেমিনারে এটেন্ড করলাম। সেমিনার শেষে ক্লান্ত শরীর নিয়ে বের হলাম হল থেকে। এখন হোটেল খোঁজার পালা। ভার্সিটির কাউকে জিজ্ঞেস করলে হয়। ইচ্ছে করছে না। বেটার কোন ট্যাক্সি নিয়ে ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করা।

আমি একটা ট্যাক্সি নিলাম। ড্রাইভার আফ্রিকান। চেহারায় বোঝা যায়। আজকাল এশিয়া, আফ্রিকা থেকে প্রচুর মানুষ চলে আসছে ইউরোপে। জাতিগত ভিন্নতা থাকলেও মানিয়ে নিয়েছে বেশ। আমি হোটেল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেই চমৎকার ইংরেজি তে বলল কাছেই একটা হোটেল আছে। ক্লেরিওন হোটেল। আমাকে নিয়ে গেলো হোটেলে। আসলে হোটেলটা এতো কাছে ট্যাক্সি নেয়ার দরকার ছিল না হেঁটেই যাওয়া যেতো। হোটেলের আউটলুক ভালো। আমি ফর্মালিটিজ সেরে চেক ইন করলাম।

তিন তারা, চার তারা বা পাঁচ তারা যেকোন হোটেলের যে বিষয়টা আমার ভালো লাগে সেটা হোল নীচ তলার মনোরম অফিস আর প্রকৃতির ছাপ। এই হোটেলও তার ব্যতিক্রম নয়। একটা ক্যারিবিয়ান নারিকেল গাছ দেখা যাচ্ছে ঠিক মাঝখানে, এর পাশেই ছোট একটা পুল, আমি নিশ্চিত কাছে গেলে দেখা যাবে সেখানে কিছু মাছ সাতার কাটছে এবং অবধারিত ভাবে মাছের রং হবে নীল,গোলাপি এবং লাল। এছাড়াও দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট সুন্দর করে ছাটা বুশ।

সেমিনার হোটেল করে আমার দু দিন কেটে গেলো উপসালায়। আসে পাশে তেমন কিছু দেখা হল না। কাছে একটা নদী আছে। নাম ফাইরিস। রুমের জানালা দিয়ে দেখা যায়। প্রশস্তে তেমন চওড়া না হলেও গোছানো টাইপ নদী। ইউরোপের প্রায় সব নদী গুলোই এমন দেখলেই মনে হয়। ক্যানভাস রঙ তুলি নিয়ে বসে যাই। শুনেছি কাছেই একটা চার্চ আছে। আমাদের এদিকের (স্কেন্ডিনেভিয়ান জোন) বিখ্যাত চার্চ। উপসালা ক্যাথেড্রাল। নরওয়ে ফিরবার আগে দেখে যাওয়ার প্ল্যান।

তৃতীয় দিনেও সেমিনার শেষ করে ক্লান্ত শরীর নিয়ে হোটেলে প্রবেশ করলাম। বাহিরের আবহাওয়া সুবিধের না। আকাশ জুড়ে মেঘ। যখন তখন জোরেশোরে বৃষ্টি নামবে। এরকম আবহাওয়া আমার আবার গান শুনতে ভালো লাগে।
হালকা পায়ে হেটে আমি ডেস্কে গেলাম। সুইডিশ রমনীরা অসম্ভব রূপবতী, যেমন এই ডেস্কের মেয়েটার কোকড়া চুল মেয়েটার রূপ সাধারনের থেকে একটু ভিন্ন করে ফেলেছে।
- গুড ইভনিং।
- গুড ইভনিং স্যার। আপনার দিন কেমন গিয়েছে?
- দিন তো সব সময় ক্লান্তই করে, সন্ধায় রুপবতী রমণী দর্শনে সেই ক্লান্তি দূর হয়।
- অনেক ধন্যবাদ স্যার। আপনি কি রাতে বাইরে খাবেন? নাকি আমাদের হোটেল লাউঞ্জ থেকে?
- রাত তো এখনও তরুনী, তরুনী রাতের মজা আধা পেটা থেকে, এখনো ঠিক করিনি কোথায় খাবো, আপনারা কটা নাগাদ খাবার সাপ্লাই করেন?
- স্যার ১০ টা। এই নিন আপনার রুমের চাবি।
- হাউ ক্যান আই গেট সাম সুইডিশ ক্লাসিক মিউজিক?
- পছন্দের শিল্পী এর নাম বললে আমরা রুমে তার মিউজিক সিডি পৌঁছে দেব।
- আই উইল কল ইউ দেন।
বা দিকে মোড় নিয়ে লিফট এর দিকে এগিয়ে গেলাম আমি,ঢুকে পড়লাম লিফটে। সাথে আরো আছেন দুজন ভদ্রলোক, আমি তাকিয়ে বিনয়ের হাসি দিলাম, হাসিতে সুইডিশ কালচার আর মানুষের প্রতি আমার ভক্তি আর ভালোবাসা মিশিয়ে দিলাম। দরজা বন্ধ হতেই আমি সোজা তিন চাপলাম। কয়েক সেকন্ড পরই তিন তলা।

নেমে ডান দিক থেকে ১৬ নাম্বার রুমটা আমার জন্য বরাদ্দ। হাটতে থাকলাম সেই দিকে,দুজন রুম সার্ভিস আমাকে অতিক্রম করার সময় মৃদু হাসি হেসে গেল,এর পর আর একজন আসলো সামনের দিক থেকে,এই রমণী আমার দিকে ভয়ঙ্কর শীতল চোখে তাকাল, আমিই চোখ নামিয়ে নিতে বাধ্য হলাম,বহুদিন এমন শীতল চোখ দেখিনি, মাছের মতো অপলক চাহনী। মাছ আর সাপ তাদের চোখ বন্ধ করতে পারে না, কারন তাদের চোখের পাতাই নেই,কিন্তু এই মেয়ের তো চোখের পাতা আছে, তার অপলক দৃষ্টি হবার কারন বুঝতে পারলাম না। আমি একবার পিছন ফিরে তাকালাম, সেই রমনীর র ও দেখা যাচ্ছে না, হুশ করে কোথায় গেল? আজিব তো! মাত্রই আমাকে পার করল রমণী, কোথায় গেল হুট করে? দুনিয়ার মানুষজন কি অনেক দ্রুতগামী হয়ে গেল নাকি আমিই কচ্ছপের মতো ধীরগতির হয়ে গেলাম? ছাইপাশ ভাবতে ভাবতে চাবি ঘুরিয়ে রুমে ঢুকলাম, বিছানার ধবধবে শাদা চাদর দেখে মনটা সিন্ধ হয়ে গেল, নরওয়ের বরফ ঢাকা ধু ধু প্রান্তর এর একটা আবেশ।
সোজা ফ্রিজ খুললাম, পৃথিবীর ৭০ ভাগ মানুষ ফ্রিজ খোলে কিছু পান করার জন্য আমিও তার বিপরীত নই, আপেল জুস নিলাম গ্লাসে আর একটা আভাগ্রাডো ফল, প্রচুর পটাশিয়াম সরবারহ করে এই ফল, কলা থেকে তিন গুন।

জানালার পর্দা খুলে বাইরে তাকালাম, সারি সারি গাড়ির লাইন রাস্তায়, ঘরে ফেরা মানুষের ব্যস্ততা। কেউ ফিরছে সন্তানের কাছে, কেউ মায়ের কাছে কেউবা প্রিয়তমার কাছে, সময় বড় দ্রুত গড়ায়। গড়ানো সময় নিয়ে রাশিয়ান শিল্পী দিদীউলিয়ার চমৎকার কিছু গান আছে, দেখা যাক একটা সিডি যোগাড় করা যায় কিনা ভাবতে ভাবতে ফিরে এলাম বিছানায়, এক পায়ের আঙ্গুলের সাহায্য নিয়ে অন্য পায়ের জুতো খুলে ফেললাম, গা এলিয়ে দিলাম বিছানায়, একটা গোসল নেয়া দরকার, শরীর টানছে কিন্তু মন টানছে না। মনের সাথে যুদ্ধ করে আর গোসলে যাওয়া হল না। শরীর এলিয়ে দিলাম বিছানায়।

ঘুম ভাঙ্গল কাফের খোচায়, মাথার নীচে হাত নিয়ে এসেছিলাম, কাফের খোচা লেগেছে চোখের পাশে। নাহ আর না, আর ঘুমালে রাতের খাবার মিস হয়ে যাবে, বাইরেও যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না, এখনও মুজোও খোলা হয়নি। ইন্টারকমে নক করলাম
- রাতের খাবারের কি মেন্যু?
- মেইন কোর্স স্যার?
- হুম।
- মাটন কাটলেট, বিফ স্টেক, মেরিনেটেড ফিশ,টার্কি গ্রিল............
- হয়েছে হয়েছে, একটা ডাবল বিফ স্টেক, সল্ট, পিপার, স্পাইস সহ।
- স্যার আর কিছু?
- একটা সিঙ্গেল গ্রিক সালাদ, মাশরুমের ডাবল সুপ, খয়েরি পাউরুটী, আর সিঙ্গেল কেক, চিজ অথবা ফ্রুট আইদার উইল ডু।
- ১০ মিনিট পর পৌঁছে যাবে স্যার।

একটু শীত শীত লাগছে, কন্ডিশনারের তাপমাত্রা বাড়াতে বাড়াতে ভাবলাম আজ রাতে যদি গল্প করার কেউ থাকলে খুব জমত, সুইডেনে আজ শেষ দিন আমার। কাল চলে যাচ্ছি। দুপুরের দিকে।
দরজায় নকের শব্দ শুনেই চেচালাম, কাম ইননননন।

অবিশ্বাস অপেক্ষা করছিল আমার জন্য, সেই মেয়ে খাবার নিয়ে ঢুকল রুমে। সর্পচোখী রমণী। সোজা টেবিলে গিয়ে খাবার রাখলো। আমার সামনে এসে দাঁড়ালো ঠাণ্ডা গলায় বলল
-আপনার মুজা থেকে গন্ধ আসছে,আমার মুজার গন্ধ,রসুনের গন্ধ,মরিচের গন্ধ সহ্য হয়না। আপনার খাবার এনেছি মরিচ ছাড়া।
- ইয়ে মানে আমার গন্ধ আমার সহ্য হলেই তো হয়,আপনার সহ্য না হলে তো কিছু আসে যায় না,তাই না?
আপনার এইডস হয়েছে এই ঘোষণা দিয়ে রোগীর দিকে যেভাবে তাকানো দরকার সেইভাবে তাকালাম।
- আসে যায় কারন,আমি সারারাত এখানে থাকবো। আপনি গল্প করার জন্য কাউকে খুঁজছিলেন।
সারাজীবন মড়দেহ নিয়ে ঘাটাঘাটি করা আমার কলজে শুকিয়ে এল,এই মেয়ে কিভাবে জানলো আমি সারারাত গল্প করার মানুষ খুঁজেছি?
- ভয় নেই,আমি মানবী না আমি ভূত।
- হা হা হা,দারুন,অসম্ভব রূপবতী সুইডিশ ভূত? নাকি পিঙ্গলকেশী রুম সার্ভিস ভূত? না না,মুজোর গন্ধশোঁকা ভূত?
আমি হো হো করে হাসতে থাকলাম,ভাবটা এমন যেন দিন সেরা কৌতুক করে ফেলেছি,রমনীর মুখে কোন পরিবর্তন দেখতে পেলাম না। আমি একটু চিন্তিত হলাম।
- আপনাকে ধন্যবাদ,খাবার দিয়ে যাবার জন্য,এখন আসতে পারেন।
- আর যদি না যাই?
- ইন্টারকমে ফোন করব।
- করুন না।
ফোন তুলে কোন ডায়াল টোন শুনতে পেলাম না। এবারে আমার অবস্থা খারাপ। আমি সোজা সাপটা জিজ্ঞাসা করলাম,কি চান আপনি? সমস্যা কি আপনার? কি নাম আপনার?
- নাম ফিলিপা,কিছুই চাই না,কোন সমস্যাও নেই।
- আপনি আসলেই ভূত?
- জি আমি আসলেই ভূত,এই হোটেলেই আমার মৃত্যু হয়েছে। আগুনে পুড়ে,গত ৬ বছর আগে।
- ভূত আপনি খুবই ভালো কথা,এখন কি করতে চান?
- গল্প শুনতে চাই,গল্প শুনাতে চাই। আপনি খাওয়া শুরু করুন,খেতে খেতে গল্প করবো।
ভালোভাবেই কথা বলছে,ভূত হলেও নিরীহ ভূত,সমস্যা আপাতত নেই,না খেপে গেলেই হয় এখন।
- আপনিও আসুন,আমার সাথে বসে খান। আ ডিনার উইথ আ বিউটিফুল ঘোস্ট। হা হা হা
হাসিতে গড়াগড়ি দেবার ইমো দিলাম,ফিলিপা আমার দিকে শীতল ভাবে তাকিয়ে আছে,অপলক চোখে। আমি চুপ মেরে গেলাম।
- ভূতেরা খায় না,অথবা পান করে না এটা আপনি জানেন না?
- আমি ভূত সম্পর্কে খুবই কম জানি,আপনিই আমার জীবনে দেখা প্রথম ভূত,তাও আবার রূপবতী ভূত।
- আমি কেন এসেছি জানেন?
- কেন?
- আমার জীবনে দেখা শেষ মানুষটা আপনার মতো।
- মানে?
- যখন আগুন লাগে আমি তখন একটা রুম গোছাচ্ছিলাম,টের যখন পাই অনেক দেরি হয়ে গেছে, তখন আমি দৌড়ে লিফট এর দিকে যাই,লিফটে একজন পুরুষ ছিল, উনি অপেক্ষা না করে দরজা বন্ধ করে দেন,আমি ফিরে এসে সিঁড়ি ভেঙে নামার চেষ্টা করি,ততখনে আমার গায়ে আগুন লেগে গেছে,পা পিছলে সিঁড়ি থেকে পরে যাই,সেখানেও আগুন,আমি দিক খুজে পাইনি,কালো ধোয়াতে সব অন্ধকার। এরপর আর কিছুই মনে নেই। এখন এখানেই থাকি,মাঝে মাঝে যাদের পছন্দ হয়,এসে গল্প শুনিয়ে যাই।
- ভয়ঙ্কর। আসলেই ভয়ঙ্কর। ফায়ার সার্ভিস কি করেছে?
- আমার মৃত দেহ উদ্ধার করেছে।
- আমি এখন চলে যাবো। আপনি ঘুমিয়ে যান। আপনার সাথে গল্প করা শেষ।
- আচ্ছা দাঁড়ান,আপনাকে একটা জিনিস দেই।
আমি সুটকেস খুললাম,সেখান থেকে বের করলাম একটা এলব্যাম,ছবি রাখার এ্যালবাম,এয়ারপোর্ট থেকে কিনেছিলাম।
- এটা নিন,আমাদের পরিচয়ের স্মারক হয়ে থাকুক।
- আচ্ছা আমি যাই,আপনি ঘুমান।
আমি ইচ্ছা করেও চোখ মেলে রাখতে পারলাম না,ঘুমে ঢলে পড়লাম। ঘুম ভাঙল দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ শুনে।
দরজা খুলে দেখলাম রুম সার্ভিস,আবার খাবার হাতে দাঁড়ানো,হতভম্ব আমি খাবার হাতে নিয়ে দাড়িয়ে রইলাম,ফিলিপা যেখানে খাবার রেখেছিল সেখানে কিছুই নেই।

 আমি ল্যাপটপ অন করে ৬ বছর আগের সাল আর হোটেলের নাম লিখে সার্চ দিলাম,উত্তর এল আগুনে ৬ জনের মৃত্যু আর ১৩ জন দগ্ধ। আর আমার সুটকেসের এ্যালবামও নেই।

3 comments:

  1. porlam, valo laglo, halka mejaje porar moto, short and straight.

    ReplyDelete
  2. bah, emon Rupoboti voot hoite mon chay :))

    ReplyDelete
  3. Vai tomar lekha din-din khub e valo hocche...!!!!! Cheers mate...!!!! :)

    ReplyDelete